পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়, পড়াশোনার মনোযোগ হওয়ার জন্য আমরা অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। ভালোভাবে পড়ার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা করে থাকি। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে পড়াশোনার বিকল্প নেই।কিন্তু আমাদের পড়াশোনার প্রতি কোন মনোযোগ নেই। আর সুশিক্ষা অর্জন করতে হলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে হবে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বর্ণনা করা হবে পড়াশোনায় মনোযোগ হওয়ার ইসলামিক উপায়।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় নিম্নে দেওয়া হল:
নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা :পড়ায় মনোযোগী হওয়ার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন কিছু না কিছু পড়তে হবে। এভাবে নিয়মিত পড়ার পর একটা অভ্যাস গড়ে উঠবে এবং পড়ার প্রতি মনোযোগ বাড়বে।
রুটিন তৈরি করা :নিয়মিত পড়ার জন্য প্রতিটি সাবজেক্ট এর জন্য নিয়ম অনুযায়ী একটি রুটিন তৈরি করতে হবে।
লক্ষ্য স্থির করা :যেকোনো কাজ সাধনের জন্য অবশ্যই প্রথমে একটি লক্ষ্য স্থির করতে হবে। লক্ষ্যকে স্থির করে মানুষ চেষ্টা করতে থাকে। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হবে।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য দোয়া :
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বদ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করতে হবে। পড়াশোনায় মনোযোগ হওয়ার জন্য কিছু দোয়া রয়েছে। যেমন,আল্লাহুম্মা হাসিবনি হিসাবাই ইয়াসিরা।
অর্থ :হে আল্লাহ আপনি আমার হিসাব (পরীক্ষা) সহজ করে দেন।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
শয়তান আমাদের ভুল কাজে পরিচালনা করে। আর তাড়াহুড়া করে কাজ করা শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। তাই আমাদের অবশ্যই গৃহস্থিরভাবে কাজ পরিচালনা করতে হবে তাহলে শয়তান থেকে দূরে থাকতে পারবো এবং কাজে সফলতা আসবে।
আল্লাহর কাছে বেশি দোয়া করা :পরিচয় কেমনে আমাদের সব সময় মাথায় এখন কাজ করে তাই এই সময় আল্লাহকে স্মরণ করে বেশি বেশি দোয়া পাঠ করতে হবে। আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে রাব্বি জিদনি ইলমা পাঠ করতে হবে। যার অর্থ হলো নিশ্চয়ই আল্লাহ সঠিক জ্ঞান দান করেন।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
নকল থেকে বিরত থাকা :লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়ে সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান পেতে হলে অবশ্যই নকল থেকে বিরত থাকতে হবে। নকল হলো প্রতারণা করা। আর কোনো ভালো মানুষ কখনোই প্রতারণামূলক কাজ করতে পারে না। নবী করীম (সা) বলেছেন যে ব্যক্তি প্রতারণা করেন সে আমার দলভুক্ত নয়।
সালাতুল হাজত :বিপদের সময় দুই রাকাত সালাতুত হাজত নামাজ পড়লে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম যখন বিপদে পড়তেন তখন তিনি দুই রাকাত সালাতুল হাজত নামাজ পড়তেন।
সর্বোপরি, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত কঠোর পরিশ্রমী হওয়া। এবং পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে হলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রয়োজন।