বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি? আধুনিক প্রযুক্তি যুগে স্যাটেলাইট ছাড়া নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি পুরোই অচল। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিএসওয়ান, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণ করা হয়।
বর্তমানে বিশ্বের টিভি চ্যানেল গুলোতে স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। মহাকাশে প্রায় পঞ্চাশটির বেশি দেশের দুই হাজারের উপর স্যাটেলাইট আছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি? তা নিচে বর্ণনা করা হলো:
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি?
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ টিভি চ্যানেলগুলোর সেবা নিশ্চিত করা। স্যাটেলাইটের ফুটপ্রিন্ট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান ১১৯.১ডিগ্রি দ্রাঘিমার কক্ষপথে। মহাকাশে প্রায় ৫০ টির বেশি দেশের দুই হাজারের উপর স্যাটেলাইট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আবহাওয়া স্যাটেলাইট, নেটিগেশন স্যাটেলাইট, পর্যটক স্যাটেলাইট ইত্যাদি। স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে হিন্দি সার্ভিস চালু করা হয়। এছাড়া যেসব জায়গায় অপটিক কেবল বা সাবমেরিন ক্যাবল পৌঁছায় নিয়ে সেই সব জায়গায় স্যাটেলাইট নিশ্চিত করে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছানো যায়।
স্যাটেলাইট নির্মাণ :৩.৭ওজনের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। আর এটি তৈরি করেছেন ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস এলেনিয়াস এসপেস।আর যে রকেট এটাকে মহাকাশে নিয়ে যায় সেটি বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি?
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ দুটি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম পর্যায়টি সম্পন্ন হতে দশ দিন সময় লেগেছে এবং দ্বিতীয়টি সম্পন্ন করতে ২০ দিনের মতো সময় লেগেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে ডেলি যোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণ করা সম্ভব হচ্ছে এবং দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করা যায় । বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের চল্লিশ ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি দেশে ব্যবহার করার জন্য আর ২০ টি হলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার জন্য।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি?
স্থায়িত্ব: রাশিয়ার কাছ থেকে অরবিট স্লেট কেনা হয়েছে ১৫ বছরের জন্য। তবে বিএসওনের স্থায়িত্ব আরো বেশি হতে পারে। অর্থাৎ আঠারো বছর পর্যন্ত হতে পারে।
কারিগরি জটিলতা :কারিগরি জটিলতা প্রথম চেষ্টা আটকে দেওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে স্পেস সেন্টার থেকে রকেট উৎক্ষেপণ করায় বন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয়েছে। এটি সম্পন্ন হতে সময় লেগেছে ১০ দিন।
উপসংহার,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণ করা হয়। তাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গুরুত্ব অপরিসীম।কারণ স্যাটেলাইট ছাড়া নেট সংযোগ অচল।