Shopping Cart
রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

5/5 - (3 votes)

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রমজানের রোজা অন্যতম। রোজার আরবি শব্দের সওম।যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল পানাহার থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে। রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরীফে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বালেগ, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নর- নারী সকলের উপরেই রোজা ফরজ। বিনা কারণে কোন মুসলমান ব্যক্তি রোজা ভঙ্গ করলে তার জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো :

রোজার প্রতিদান :

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, রোজার প্রতিদান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেই দিবেন এবং বিনা হিসেবে দিবেন। প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত সওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে। তেমনি সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির আমলনামা নেক আমল দ্বারা বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ তাআলা একটি নেকির সওয়াব ১০ গুন থেকে ২৭ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন।

আল্লাহতালা রোজাদার ব্যক্তিদেরকে নাজাত দান করবেন :

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরীফে বলা হয়েছে, রোজাদার ব্যক্তি পানির তৃষ্ণায়, তৃষ্ণার্ত হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর ভয়ে পানি পান করেন না। তাই আল্লাহ তাআ’লা প্রতিদান হিসেবে কেয়ামতের দিন রোজাদার ব্যক্তিকে পানি পান করাবেন। এবং রোজাদার ব্যক্তির আমলনামা নেক আমলে পরিপূর্ণ করে দিবেন।

রোজা হল জান্নাত লাভের পথ :

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরীফে হযরত হুজাইফা (রা:)হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলে মৃত্যুবরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।রোজা পালনকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করতে দিবেন।

রোজাদার ব্যক্তি রাইয়ান নামক রোজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে :

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরীফে হযরত সাহল ইবনে সাদ’রা হতে বর্ণিত, নবী সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রোজা রাখবে সে রাইয়ান নামক জান্নাতের বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।

রোজাদার ব্যক্তির সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায় :

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত, রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদীস শরীফে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের জন্য রোজা রাখেন আল্লাহ তা’আলা নিজে সেই ব্যক্তির গুনাহ ক্ষমা করে দেন।

রোজা গুনাহের কাফফারা :

রোজা গুনাহের কাফফারা হাদিস শরীফে বর্ণনা করা হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন ধরনের গুনাহের কাফফারা স্বরূপ রোজার বিধান নাজিল করেছেন। যেমন: মাথা মুন্ডানোর কাফফারা, কসমের কাফফারা, ভুলক্রমে হত্যার কাফফারা।

তাই সিয়াম পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।

Spread the love
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

@ 2024 Dhums – All Rights Reserved.