হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল এই দোয়াটি জিকিরের যেকোনো সময় করা যায়। অসুস্থ বা কোন ক্ষতির আকাঙ্ক্ষা অথবা শত্রুর হাত থেকে মুক্তির জন্য এ দোয়া বিশেষ কার্যকর। আল্লাহর নিশ্চয়ই যথেষ্ট সাহায্যকারী। এই দোয়াটি অনেক ফজিলতপূর্ণ দোয়া। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোতে এই দোয়া পড়তেন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করব দোয়াটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ।
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল
প্রত্যেক মানুষের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট:
আল্লাহতালা যে ব্যক্তির উপর সহায়ক থাকে সে ব্যক্তি সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে পারে। যত কঠিন বিপদ আসুক না কেন আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাইলে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন। পূর্বে নবী ও সাহাবীরা বারবার বলতেন আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল এর অর্থ:
নিশ্চয় আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী এবং কর্মবিধায়ক। প্রত্যেক মানুষের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল পড়ার ফজিলত:
যেকোনো অন্যায় অত্যাচার অবিচারের শিকার হলে অথবা কারা বন্ধি অবস্থায় থাকলে দোয়াটি বেশি বেশি পড়লে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাকে মুক্তি মিলাবে। ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, যখন ইব্রাহিম (আ:) কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তখন তিনি এই দোয়াটি বলেছিলেন। ফলে তিনি সেই জ্বলন্ত আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কর্ম বিধায়ক। সাহাবীরা এ দোয়া আমল করেছিলেন খন্দকের যুদ্ধের সময়। যখন সাহাবিরা জানতে পারলো মদিনা শহরকে ঘিরে ফেলেছে শত্রুরা তখন তারা আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করেছিল এবং দোয়াটি পড়েছিল। তিরমিজি শরীফের একটি হাদিস আছে, বিপদে পড়া অথবা বিপদের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পেতে এই দোয়াটি পাঠ করলে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হযরত আব্দুল সাঈদ খুদরি (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন কেমন করে হাসি খুশি থাকব,ইসরাফিল (আ:) ফুতকার দেওয়ার জন্য সিংগা মুখে ধরে আছেন। তিনি কান লাগিয়ে আছেন কখন সিংগায় ফু দিতে আদেশ করবেন আল্লাহতা’লা। সাহাবীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন। এমন দেখে মহানবী (সাঃ) সাহাবীদের এই দোয়াটি বারবার পড়ার আদেশ দিলেন। কারণ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং উত্তম কর্ম বিধায়ক।
উপসংহার, প্রিয় দর্শকগণ নিশ্চয়ই আপনারা জানতে ও বুঝতে পেরেছেন হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল দোয়াটি আমাদের জন্য কতটা ফজিলতপূর্ণ। তাই আমাদের উচিত বিপদ আপদ থেকে মুক্তি পেতে দোয়াটি বেশি বেশি করে পাঠ করা। কারণ আমাদের পূর্বে নবীরা বিপদ আপদ থেকে মুক্তি পেতে এই দোয়া পাঠ করতেন। সাহাবীরা এই দোয়ার আমল করতেন।