রমজান, রমাদান হিজরি বর্ষপঞ্জির নবম মাস। ইসলাম পূর্ব যুগেও রমজান মাসকে পবিত্র মাস হিসেবে গণ্য করা হতো। এই মাসটি ছিল যুদ্ধবিরত মাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। পবিত্র কুরআন শরীফে রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। রমজান মাসের রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়েছে। রমজান মাসে রোজা রাখতে হলে অবশ্যই প্রথমে নিয়ত করতে হবে। কেউ যদি আরবিতে নিয়ত করতে না পারে তাহলে সেই ব্যক্তি রোজার নিয়ত বাংলা নিয়ত করতে পারবে। রোজা রাখার জন্য আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া খুবই জরুরী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে খাটি নিয়্যাত এ সিয়াম পালন করবেন মহান আল্লাহ তায়া’লা তার রোজা কবুল করে নিবেন এবং তার পূর্বের সকল গুনাহ মহান রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দিবেন।
রোজার নিয়ত বাংলা:
রোজার নিয়ত আরবির পাশাপাশি রোজার নিয়ত বাংলা করা যায়।
রোজার নিয়ত বাংলা,
হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের রোজা রাখার নিয়ত করছি, যা আপনার সন্তুষ্টির জন্য অতএব আমার পক্ষ থেকে আপনি এই ফরজ রোজাটি কবুল করে নিন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
রমজানের রোজা ফরজ। স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন তার পূর্ববর্তীদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছিল। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য রোজার নিয়ত বাং লা করা যায়।
রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ :
নাওয়াইতুয়ান আসুমা গাদাম, মিনশাহরি রমাদানাল, মোবারক, ফারদুল্লা কা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকা বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণের অর্থ :হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের ফরজ রোজা রাখার নিয়্যাত করলাম। আল্লাহ তুমি আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল করে নাও।
রোজার নিয়ত বাংলা :রোজা পালনের সাহরি ও ইফতার খুবই জরুরী। মূলত ঘুম থেকে উঠে সেহরি হাওয়ায় রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করার জরুরি নয়। বস্তুত মনের ইচ্ছাই হলো নিয়ত। রোজার নিয়ত বাং লা, বারবি দুই ভাবেই করা যায়। বাংলাদেশের মানুষ একটি প্রচলিত নিয়ত মুখে মুখে পড়ে থাকেন। তবে জেনে রাখা উচিত যে নিয়ত পড়ার চেয়ে নিয়ত করা গুরুত্বপূর্ণ।কারণ মহান আল্লাহর তা’আলার কাছে পৌঁছে মানুষের তাকওয়া।