নফল রোজার নিয়ত ফজরের আগে থেকে হওয়া জরুরি নয়। বরং দিনের বেলায় দ্বিপ্রহর এর আগে যেকোনো সময় নফল রোজার নিয়ত করা যায়। নফল রোজা সেহরি না খেয়েও নফল রোজার নিয়ত করে রোজা থাকা যায়। কোন ব্যক্তি যদি নফল রোজার নিয়ত করে কিন্তু ফজরের ওয়াক্তের সময় পানাহার করে তাহলে তার রোজা হবে না।
নফল রোজার নিয়ত বর্ণনা করা হলো :
কোন ব্যক্তি যদি সোমবারের রোজা রাখে এবং দিনের মাঝখানে নিয়ত করে এবং সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল পানাহার থেকে বিরত থাকে তাহলে তার নফল রোজার নি য় ত সঠিক হবে। নফল রোজা মূলত প্রতিমাসে বৃহস্পতিবার ও সোমবার রোজা রাখার ফজিলত অনেক।
নফল রোজার নিয়ত বাংলা :
আমরা অনেকেই নফল ইবাদত করে থাকি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নফল ইবাদত হলো রোজা। অনেকেই জানতে চায় নফল রোজার জন্য আলাদা কোন নিয়ত করতে হয় কিনা। আসলে প্রকৃতপক্ষে নফল রোজার জন্য আলাদা কোন নিয়ত নেই। আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের জন্য সকাল পানাহার থেকে এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা এবং নিজের মনের হচ্ছে পোষণ করাই হচ্ছে নফল রোজার নি য় ত।
নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয় :
নফল রোজা রাখার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি নফল রোজা রাখতে চায় তাহলে সেই ব্যক্তির ফজর হওয়ার আগে নিয়ত করা উত্তম। তবে সে দ্বিপ্রহরের আগেও নিয়ত করতে পারেন।
নফল রোজার ফজিলত :ফরজ ও ওয়াজিব রোজা ছাড়া অন্য সকল অতিরক্ত রোজাকে নফল রোজা হিসেবে গণ্য করা হয়। নফল রোজা মূলত দুই প্রকার। রাসূল সাল্লাহু সালাম কর্তৃক পালনকৃত এগুলোকে সুন্নত রোজা বলা হয় । অন্যটি হলো অনির্ধারিত,এই রোজাগুলোকে মুস্তাহাব বলা হয়। নফল রোজার রয়েছে অসংখ্য ফজিলত। যে ব্যক্তি বেশি বেশি নফল রোজা পালন করবে আল্লাহতালা তার আমলনামায় নেক আমল দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিবেন। এবং তার জন্য নাজাতের ব্যবস্থা করবেন। কারণ যে ব্যক্তি রোজা পালন করে সে আল্লাহর ভয়ে সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকেন।
সর্বোপরি, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ফরজ রোজাগুলো যেমন গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়। ঠিক সেইভাবে নফল রোজা গুলো গুরুত্ব সহকারে পালন করা।