প্রত্যেকে মেয়েরই স্বপ্ন থাকে সে ফর্সা হবে। বর্তমানে অসাধু ব্যবসায়ীরা কিছু প্রোডাক্ট তৈরি করে ফর্সা হওয়ার জন্য। কিন্তু এগুলো দিয়ে ফর্সা হওয়া যায় না বরং ত্বকের আরো বেশি ক্ষতি হয়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই ফর্সা হওয়া যায়। এটি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি। তাই এটি ত্বকের কোন ক্ষতি করে না বরং ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ত্বকের কমলতা ফিরিয়ে আনে। কেউ যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আশা করি, আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে সকল বিষয় বুঝতে পারবেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো:
শসা :শসার রস আর মধু ভালোভাবে মিশিয়ে এটিনিয়মিত মুখে প্রয়োগ করলে অল্প সময়ের মধ্যে মুখে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
কাঁচা হলুদ :কাঁচা হলুদের রস এবং ময়দা একসাথে ভালো করে মিশিয়ে পুরো মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। নিয়মিত এটি মুখে লাগালে মুখের শুষ্কতা দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
পাকা কলা :প্রথমে পাকা কলা ভালোভাবে চটকিয়ে নিতে হবে। পাকা কলার সাথে মধু মিশিয়ে মুখে প্রয়োগ করলে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
টমেটো :যাদের মুখে এলার্জি নাই শুধুমাত্র তারাই এটি মুখে লাগাতে পারবে। টমেটো ভালোভাবে চটকিয়ে লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে মুখে এবং গলায় ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা হবে। এটি পাঁচ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
আরো অনেক ঘরোয়া পদ্ধতি :এছাড়া আধা কাপ চায়ের সাথে দুই চামচ চালের গুড়া চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে মুখের পোড়া ভাব দূর হবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
চন্দন :নিয়মিত চন্দন ব্যবহার করলে মুখের পুরা ভাব দূর হয় এবং উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। চন্দন ব্যবহারের সময় প্রথমে চন্দনটিকে গুড়া করে নিতে হবে। পরিমাপ মতো পানি মিশিয়ে চন্দন ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। চন্দন লাগানোর আধাঘন্টা পর মুখ ভালোভাবে ধুতে হবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
সর্বোপরি,আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত প্রসাধনীয় ক্রিম ব্যবহার না করে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে মুখের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা। কারণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু প্রসাদনীয় ক্রিম ব্যবহার করলে অনেক সময় মুখ পুড়ে। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।