আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পাঠ করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। এই পোষ্টের মাধ্যমে আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত:
আয়াতুল কুরসির বাংলা অনুবাদ:
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হু ওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম। লাতা খুজুহু সিনাতু ওয়ালা নাউম। লাহু মাফিস সামাওয়াতি ওমাহফিল আরদ। মান জাল্লাজি ইয়াশফাঊ ইনদাহু ইল্লা বিইজনিহি। ইয়ালামু মা বায়না আইদিহিম খলফাহিম ওয়ালা ইউহিতুনা বি শাইম ইল্লা বিমা কুরসি ইউ হুছছামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলী উল আজিম।
আয়াতুল কুরসির বাংলা অর্থ:
আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সবকিছুই তার। বৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সব কিছুই তিনি জানেন। তার জ্ঞানসীমা থেকে তার কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারবে না কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন।
আয়াতুল কুরসির ফজিলত:
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু বলেন, যে ব্যক্তি বিছানায় যাওয়ার সময় আয়তাল কুরসি পাঠ করবে আল্লাহতালার পক্ষ থেকে তার জন্য একজন প্রহরী নিযুক্ত করা হবে। এবং তখনকার সময় থেকে সকাল পর্যন্ত তার কাছে শয়তান আসবে না। আয়াতুল কুরসি যারা নিয়মিত পাঠ করবে, অগণিত ফেরেশতাগণ তাদের জানমাল রক্ষার জন্য নিয়োজিত থাকবে। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যা একবার করে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন ফেরেশতাগণ তাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন। দূরে ভ্রমণ করতে বের হলে আয়াতুল কুরসি পড়ে বের হলে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাবেন। এবং ইনশাল্লাহ নিরাপত্তার সাথে বাড়িতে ফিরতে পারবেন। আবার কোন কারনে ভয় পেলে আয়াতুল কুরসি পড়ে নিলে ইনশাল্লাহ ভয় দূর হয়ে যাবে। আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে সেই ব্যক্তি মৃত্যুর পর পরই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
সর্বশেষ কথা, আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ আয়াতুল কুরসি একটি ফজিলত পূর্ণ আয়াত। এ আয়াত পাঠের মাধ্যমে বিপদ, ভয় দূর হয়। আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত সম্পর্কে জানলে এই আয়াত পাঠ করতে মুসলমানরা আগ্রহী হবেন। উপরে আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত সম্পর্কে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।