ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, বাংলাদেশের চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এমন কিছু উপসর্গ দেখা গেছে যা ডেঙ্গুর উপসর্গ নয়। চিকিৎসকরা বলেছেন ডেঙ্গু হয়েছে সেটি বুঝতে না পারার কারণে অনেকে দেরি করে হাসপাতালে এসেছে ফলে শেষ মুহূর্তে অনেকেই মারা গেছেন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে গত বছর ৮০ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার তুলে ধরবো।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার:
ডেঙ্গু হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়:
ডেঙ্গু হলে তীব্র জ্বর, তীব্র মাথার যন্ত্রণা, চোখের পিছনে ব্যথার অনুভূতি, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, মাংসপেশি এবং অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণা, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, ত্বকে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদী ডায়রিয়া। যেমন রোগী তিন দিন বা চার দিন ধরে ডায়রিয়ায় ভুগছেন। অল্প জ্বরের মধ্যে হাত-পা শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা প্রচন্ড খিচুনি দেখা দেওয়া।
কিভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু হয়েছে:
ডেঙ্গুর মৌসুমে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। সেই সময়ে কারো শরীরে অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসা করে পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা উচিত। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে প্রচন্ড জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা,বমি বমি ভাব, ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ :
১.জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
২.জ্বরের মাত্রার উপর নির্ভর করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।
৩.ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন কড়া ভাবে নিষেধ করেছেন ডাক্তাররা।
৪.জ্বর কমানোর জন্য পাতলা নরম কাপড় ভিজিয়ে ঘন ঘন শরীর মুছতে হবে।
৫.ডেঙ্গু রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।
৬.ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর সাত থেকে দশ দিন ভারী কাজ অথবা মাত্রা অতিরক্ত পরিশ্রম করা যাবে না। স্বাভাবিকভাবে দৈনিক হাঁটাচলা করতে হবে।
৭.ডেঙ্গু রোগীকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনযুক্ত খাবার দিতে হবে। এছাড়া ডাবের পানি, ফলের রস, দুধ তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।
সর্বশেষ কথা, ডেঙ্গু জ্বর মানুষের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই প্রত্যেকের উচিত ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে যদি মানুষের জানা থাকে তাহলে উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।